আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলা সাহিত্যের আরেকটি পালকের যোগ ঘটল।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলা সাহিত্যের আরেকটি পালকের যোগ ঘটল।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলা সাহিত্যের আরেকটি পালকের যোগ ঘটল।

ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হলো জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামালের ‘থ্রি নভেলস’।

তার তিনটি চৌম্বক উপন্যাসের সংকলন এটি।

ভারত, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে একযোগে প্রকাশ করেছে নোশন প্রেস পাবলিশিং। তার আরেকটি উপন্যাস বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের নাম ছড়াবে। সম্প্রতি লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স থেকে ‘জননী’ উপন্যাসের ইংরেজি সংস্করণ ‘দ্য মাদার’ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।

সুদীর্ঘ ২৭ বছর ধরে সাহিত্যের আঙিনায় মোস্তফা কামালের পদচারণা। বর্তমানে দৈনিক কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদকের গুরুত্বদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। অন্যান্য সংবাদপত্রেও দায়িত্বশীল পদে মেধা ও দক্ষতার জানান দিয়েছেন আগেই। পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখছেন নিয়মিত।

তার তিন অনবদ্য উপন্যাসের নিপুণ বয়ান ফুটে উঠেছে ‘থ্রি নভেলস’-এ। ‘Taliban, Pak Colonel and a Young Lady (তালিবান, পাক কর্নেল এবং এক তরুণী)’, ‘Flaming Eventide (বারুদ পোড়া সন্ধ্যা)’ এবং ‘The Flatterer (তেলবাজ)’ এর সংকলন ‘Three Novels’।

তালিবান, পাক কর্নেল এবং এক তরুণী

এখানে ঔপন্যাসিক যেন ভবিষ্যতদ্রষ্টা। পাকিস্তানের টালমাটাল সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার বয়ানে লেখকের বিচক্ষণতার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলবে এখানে। এই উপন্যাসে এমন একটি দেশের ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর ধারাবাহিকতা সংশয়াতীতভাবে উঠে এসেছে, যেখানে স্বেচ্ছাচারিতার ছায়ায় ধর্মান্ধতা লালিত হয়। কাউকে না কাউকে তো সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গভীরে ডুব দিতেই হবে। আর সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন লেখক। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাস্তবে এক হরর সিনেমা চাক্ষুস করে পাকিস্তান। শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। উপন্যাসে সেই ঘটনার পূর্বাভাস নিয়তির মতো উঠে এসেছে। সেই সব অস্থির ঘটনার বয়ান সাদা কাগজে কালো কালিতে ফুটিয়ে তোলা সহজ কথা নয়। কিন্তু লেখক এখানে ক্যারিশম্যাটিক।

বারুদ পোড়া সন্ধ্যা

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনতার যুদ্ধ এবং তার পরবর্তী অবস্থা পাঠকের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এই উত্তাল সময়ের এলোমেলো পরিস্থিতিকে গুছিয়ে সহজবোধ্য করেছেন। সুবিধাবাদীরা কীভাবে প্রতাপশালী হয়ে ওঠেন এবং পরিণতিতে কুশাসন প্রতিষ্ঠা পায় তার নির্ণয় ঘটেছে এই অংশে। এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের ওপর রাজাকারদের আগ্রাসনের দৃশ্যপট চোখের সামনে জীবন্ত করেছেন ঔপন্যাসিক।

তেলবাজ

এখানে নামেই বোধগম্য তেলবাজদের কাহিনি। ব্যাঙ্গাত্মক বয়ানে মোস্তফা কামালের মুন্সিয়ানা মুগ্ধতা ছড়ায়। অযোগ্য-অদক্ষ মানুষগুলোর শীর্ষে ওঠার একমাত্র অবলম্বন হয়ে ওঠে ‘তৈল মর্দন’। এ দলের লোকেরা তেলবাজিকে ওপরে ওঠার সিঁড়ি গণ্য করেন। অযথা প্রশংসা আর গুণবাচক শব্দ-বাক্যে তারা বসদের আত্মতুষ্টি বিলিয়ে যান। তারা বিনয়ের অবতার হয়ে ওঠেন যা অনেক সময়ই অস্বাভাবিক আচরণ হয়ে ওঠে।

কর্মক্ষেত্রের উঁচু স্তরে এই তেলবাজদের আনাগোনা। সেখানে তেলবাজিই যেন বসদের মনোযোগের কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনলাইন স্টোর আমাজনসহ ভারত ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন স্টোরগুলোতে মিলছে ‘থ্রি নভেলস’। ভারতের ফ্লিপকার্ট ও ইনফিবিম এবং বাংলাদেশের রকমারিতে পাওয়া যাবে বইটি।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান