
১.
ফুলের খুশবু খুইয়ে ইমাম বিলায় হারবাল আয়ুর্বেদিক
হুর লোভী নে কোঁচড় ভরে, পাখির ঠেকা যাবে সেদিক।
২.
ও পাখি তুই কেন আসিস দেখতে নামাজ, শুনতে আজান
পাখির জবাব আমার বাড়ি তোমার সাথে খোদাও তো যান!
৩.
নামাজ পড়ার জন্য যখন জায়নামাজে দাঁড়িয়ে পড়ি
আমায় নিয়ে তোমার-খোদার ঝগড়া দেখে হেসেই মরি।
৪.
ভোরবেলা ট্রেন হর্ণ বাজিয়ে পালালো, নেই ফেরার আভাস—
ফিরবে কখন জানিস কি গো দিয়াবাড়ির দু'তলা বাস?
৫.
বুকের বাড়ির পিছে যদি ওই দু' পায়ের বাড়ি হতো,
আসতে যেতে মাড়িয়ে যেত, বুক মাখতো মধুর ক্ষত।
৬.
কাঙাল রে তুই অবশেষে এই তো পেলি হৃদয় ছেনে;
সুপার সপের স্যান্ডালিনা কুঁড়েঘরকে কমই চেনে।
৭.
ব্যাথার ডাহুক ডাকবি কত জিরিয়ে নে না একটুখানি
চাঁনপাড়াটাই ঘুমিয়ে আছে কে নেবে তোর চোখের পানি!
৮.
যে হয়েছে পরিণত কঠিন হীরায় ও কংক্রিটে
সে হবে আর বসতে রাজি তিস্তা ট্রেনের উল্টো সিটে?
৯.
ডিজিটালের শ্যেন বসানো যে বাগানের চতুর্দিক
ক্যাম্নে যাবে পেয়ারা তুমি উপায় বলো বুলবুলিক।
১০.
বাগান তুমি যতই দেখাও ভ্রমরটাকে গোপন দোর
নিপুণ মালির ডিজিটাল শ্যেন ধরিয়ে দেবে ঠিকই চোর।
১১.
গোলাপ তুমি বাগান ছেড়ে বেছেই নিলে অন্ধকুপ!
বাগান জুড়ে উড়ে উড়ে কাঁদছে একা নীল মধুপ।
১২.
তানপুরাটায় বাজিয়ে যা না মন-আঙুলে ব্যথার তান,
চোখ যদি না ফিরায়, শেষে— বুঝে নিস তাঁর নেই দু' কান।
১৩.
আশার চারার আগায় গোড়ায় ঢালছিস রোজ; ঢালিস জল—
না পেলে ফুল-ফলের দেখা নিষ্ফলকেই জানিস ফল।
১৪.
কাঁটা যদি পায়ের ভয়ে পথের পাশেও শুয়ে থাকে,
চোখের কাঁটা ভেবে ওই চোখ তখনো দেয় ধুয়ে তাকে!
১৫.
অপেক্ষা তুই খোদার খাসি? নেই অবসর অসুখ-বিসুখ?
সেই গেড়েছিস বসতবাড়ি কতই কুলোয় ভাঙা এ বুক!
১৬.
হাজার ফুলের রক্ত খেয়ে যার হয়েছে পদস্থলন
অপেক্ষা তুই আমায় ছেড়ে ওর বুকে মার খড়ের মলন।
১৭.
আহত মন কাতরা যতই হাসপাতালের শুকনো ঘাসে
ডাক্তার সাব টাইম মানেন তুই মরলে কী যায় আসে!
১৮.
ফুলের সাথে পাতা থাকে, দেখিস সেটা সবুজটা
ঝরাপাতা ঝাড়ুর আগায় বুঝবি কবে অবুঝটা?
১৯.
রোদ জানে না মেঘের কখন খারাপ থাকে মন
তাই বুঝি সে পোড়ায়, পাড়ায় বুকে সারাক্ষণ।
২০.
কাঁটা যদি পায়ের ভয়ে পথের পাশেও শুয়ে থাকে,
চোখের কাঁটা ভেবে ওই চোখ তখনো দেয় ধুয়ে তাকে!