মহানায়ক
কী আছে জানিনা
কত লোকেই তো কত কিছু বলে
মুগ্ধতা কাজ করে,
কিংবা ভালোলাগা।
কখনো কখনো আবেগতাড়িত করে,
প্রভাবিত করে,
কথকতা ভাবায়, আবার হারিয়ে যায়,
চিরন্তন হয়ে সে সব শব্দ
বেঁচে থাকে না, আমাদের জীবনে।
অথচ তিনি অম্লান হয়ে গেলেন
অপশক্তির ছায়াও দমন করতে
পারেনি, পারবে না।
সেই ভরাট কন্ঠ, হিমালয়ের মত ব্যাক্তিত্ব
নিয়ে আজও তাঁর শব্দ দিয়ে
শিহরিত করেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
জান্নাত ৎবসড়াবফ ধ সবংংধমব
নেতা
আজকাল অনেকেই নেতা হতে চান
তাতে নাকি খুব সুবিধে
নেতার জীবনতো গেলই
সন্তানদের ভবিষ্যতটাও
গড়ে দেওয়া যায় চমৎকার।
তাই নেতা হতে চেয়ে,
অবিরত চলে প্যাকটিস
রগরগে জ্বালাময়ী ভাষণ
যেমন জানতে হয়,
তেমন তেলে ডোবা
চতুরতায় বিজ্ঞ হতে হয়।
সদাই চলছে তাই প্রচেষ্টা
নেতা হওয়ার।
আজকাল আর কেউ নেতা
হয়ে জন্মায় না।
সেই ভরাট কন্ঠ, মুগ্ধ করা
ব্যক্তিত্ব নিয়ে
কেউ এসে আর
ভরসা দেয় না আমাদের।
শেখ মুজিবুর রহমানকে আমি দেখিনি
শেখ মুজিবুর রহমানকে আমি দেখিনি
তাকে নিয়ে আমার কোন অভিজ্ঞতা বা স্মৃতি নেই।
তবুও ঘুমে জাগরণে তিনি আজকাল আমার কাছে আসেন।
হিমালয়ের মতো ব্যক্তিত্ব নিয়ে আমার পাশে
এসে দাড়ান। নিজেকে তখন আর খুঁজে পায় না আমি। বিলিন হয়ে যায় তারঁ মুগ্ধতায়।
আমারি সামনে ঘটে যাওয়া কোন অপরাধ দেখলে তিনি যেন নিরুত্তাপ আমাকে ঝাকুনি দিয়ে দেরাজ কন্ঠে বলেন,
আর কতকাল ঘুমিয়ে কাটাবি? এবার জেগে ওঠ।
আর খবরের কাগজে যখন দেখি নির্যাতিত, নিপিড়িত মানুষের খবর - তখন দেখতে পায় তিনি গিয়ে সেই মানুষ গুলোকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে ব্যাথিত হৃদয়ে বলছেন, কাঁদিস না আজ থেকে তোর সব বেদনার ভাগীদার আমি।
ধর্ষিত, দগ্ধ, ব্যাভিচারের শিকার, বিতাড়িত কোন নারী যখন এই সোনার বাংলায়
হাহাকার করে ওঠে, তখন আমি শুনতে পায় মুজিব ক্রন্দনরত অবস্থায় বলছেন, ওদের বলে দাও আমিই ওদের পিতা আর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ওদের ঠিকানা।
শিক্ষা, চিকিৎসাকে যারা ব্যাবসার ক্ষেত্র বনিয়েছে, তাদেরকে ডেকে তিনি ধমকে বলছেন, কিহে বাঙালি স্বজাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার জন্য বুঝি দেশটাকে স্বাধীন করা হয়েছিল!
শেখ মুজিবুর রহমানকে আমি দেখিনি, তাকে নিয়ে আমার কোন অভিজ্ঞতা বা স্মৃতি নেই।
তবুও তাঁর ছায়া আমি অনুভব করি।
জীবন যেখানে বিপন্ন, মানবিকতা যেখানে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে অসহায়ত্ব নিয়ে, সত্যি বলছি সেখানে আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে
অনুভব করি। তিনি ছিলেন, আছেন আমাদেরি মাঝে অতি সাধারণ হয়ে, একদিন নিজ দর্পে জ্বলে উঠবেন বলে।