আবু সাঈদ তুলু’র গুচ্ছকবিতা
আবু সাঈদ তুলু’র গুচ্ছকবিতা

কবি  : আবু সাঈদ তুলু


 

উত্তরসুরী

 

বহে যে রক্তধারা

প্রাণের স্পন্দে আনন্দের রৌদ্রে

অস্থিমজ্জার প্রতিটি নিঃশ্বাসে

দীর্ঘদেহী নিঃশ্বাসের প্রতিটি বিশ্বাসে

 

সে আমার পূর্বপুরুষের

সে আমার জাতিসত্তার

সে বিলুপ্তপ্রায় সংস্কৃতির

 

সত্তা-ঋণের চক্রে বাধা জীবন

উৎস থেকে হোক বিশ্ব উদবারি

মাটির ভিতে দাঁড়িয়ে আকাশ ছোঁই।।

 

 

আত্ম-রূপ

আয়নার সামনে দাঁড়ালে

খুব অসহায় লাগে নিজেকে

ক্ষুদ্রাকৃতির এক ক্ষণজীবী দেহী

কেবলই ভেসে বেড়ায় অজানার জলে

এ গোলার্ধের পরিভ্রমণে

তৃণছায়ে ঘেরা পূর্নিমার চাঁদমাখা রাত্রি

বর্ষণে আটকে থাকা লাল গোধূলীর সূয

অপেক্ষায় গুণে রাত্রি দিন

নিস্তরঙ্গে ভাসমান এ হৃদয়

উদ্দেশ্যহীন আগমন কিংবা প্রগমন।।

 

মনের বাড়ি

যখন পৌঁছলাম ঝর্ণার শব্দ গেছে থেমে

ফুটে থাকা গোলাপগুলো হয়ে উঠেছে নিষ্প্রভ

দিগন্তের সীমাহীন দিকচিহ্ন হয়ে গেছে বিমলিন

এক স্তব্ধতায় নিমোহ স্থবিরতা গ্রাস করেছে সব

চারদিকের সবকিছু বিমুক্ত বেদনার্ত প্রাণ-স্পন্দহীন

তখন আমি বললাম হও

সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠলো সব

আবার প্রজাপতি মেললো পাখা; ঝর্ণা পেল গতি

রঙ ও সৌন্দযের অদ্বৈত বন্ধনে নব উল্লাসে

তাড়িয়ে ফেরা স্বপ্নগুলো নতুন করে শক্তি পায়

হারিয়ে যাওয়া আবেগগুলো ডানা মেলে আকাশে

ভ্রান্তিগুলো সরতে সরতে মন প্রজাপতির ডানা মেলে

মনের বাড়ি বিস্মৃত স্বপ্নগুলো বারবার ফিরিয়ে দেয়

প্রশান্তির সুনিবিড় ছায়ায় নতুন গতির ধারায়

জীবন সৌন্দযের আলো-আঁধারীর মায়ায়

মনের বাড়ি প্রতিক্ষণ নতুন উদ্দ্যেমের অফুরান শক্তি।।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান