নীলাম্বরী পাহাড়
কি আশ্চর্য ধৈর্য নিয়ে.....
আজ আমি এক নীলাম্বরী পাহাড়!
অনাদিকাল ধরে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছি সংসারের পরিক্রমায়;
নিঃস্বার্থ ভালোবাসার পেয়ালা হাতে.....
অবহেলা আর অনাদরের জ্বালাময়ী সুগন্ধী মেখে!
বুকের ভাঁজে দুঃখ লুকাই প্রতিনিয়ত
বিষাদের নিনাদে বাসা বাঁধে;
অঙ্কুরিত মন....
সমঝোতার সাগরে গা ভাসিয়ে চলে আত্মবিসর্জন!
তারকাঁটা সময়ে বন্দি রয় কেবল ঘরপোড়া দহন,
নীলাম্বরী পাহাড় আমি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে সংসারের পরিক্রমায় সং সেজে টেনে নিই সভ্যতার বাহন!
ঈশ্বরের শামীয়ানা
জ্বলছে আগুন
ঈশ্বরের শামীয়ানায়,
নৈরাজ্যের কপটতায়
পৃথিবী এগিয়ে যায় সাম্রাজ্যবাদের ছেঁড়া পাল তুলে।
হাতের মুঠিতে আবদ্ধ সময়কে পেরেক ঠুকে বসিয়ে রাখে ঔপনিবেশিক স্তুতি!
অনাহারী রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঠুকরে খায় কাঠঠোকরার দল!
সাম্প্রদায়িকতার যাঁতাকলে পিষ্ট ভূ-রুহ
আগুন জ্বলে ঈশ্বরের শামীয়ানায়!
পাপিষ্ঠদের তকমায় ঘুণে ধরা সভ্যতার অবগাহন।
বুভুক্ষু নগরীর মনপোড়া ছাই ঈশ্বরকে ভাবায়না।
ঈশ্বর সিদরাতুল মুনতাহায় বসে দেখেন
ফুটপাতে পড়ে থাকা সভ্যতার নগ্নতা!
আগুনের উত্তাপ নিয়ে ঈশ্বর চলেন।
কালের প্রতিবিম্বে নগ্ন সভ্যতা নিঃশেষ হবে,
সাম্রাজ্যবাদের ছেঁড়াপাল ভোরের আলোয় পুড়ে যাবে প্রকৃতির নিয়মেই।
সাম্প্রদায়িকতার কঙ্কাল একদিন ঝুলে থাকবে লাশ কাটা ঘরে!
অপেক্ষা কেবল সময়ের
কারণ ঈশ্বর কখনো পক্ষপাতিত্ব করেননা!
সময়েরটা সময়েই ফিরিয়ে দেন মহাকালের বলয়ে!
ভালোবাসার সাতকাহন
তোমাকে ভালোবেসে নক্ষত্র ছোঁয়া হয়নি আমার
অযুতাব্দীর পর অযুতাব্দী কেটে গেলো
বলা হয়নি তোমায়—
কতটা মেঘ গ্রীবার কাছে এসে গর্জন করে প্রতিনিয়ত!
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে পাঞ্জেরি সময়!
মিলিয়ে যায় ঝরনার খরস্রোতে দ্বিধাহীন জীবন!
চিলেকোঠা মন ছুটে চলে তোমার ঠিকানায়।
আমিতো আছি তোমার মাঝেই তোমার বসন্তের বারান্দায়!
ভালোবাসার সাতকাহন নিয়ে
নক্ষত্রকে ভ্রুকুটি করে
পড়ে আছি তোমার নিরুত্তাপ ভালোবাসায়!