না লেখা পুরনো ডায়েরিটা ওঠে আসছে গায়ে তার বিদ্যুতের বহুবিধ ত্যাজষ্ক্রিয় চোখ মজলুমের ঘাম
আলকাতরায় আঁকা
আলকাতরায় আঁকা এক শূন্যতা সমুখে নিয়ে বিভিন্ন এ্যাঙ্গেল থেকে দেখতে চাইছি রূপের বৈচিত্র্য--- কী দেখলাম? দেখলাম; পানি পিছলে যাচ্ছে ধুলো এসে বসে যাচ্ছে অনায়াসে--- একটা প্রতিবন্ধকতা হাজার দেয়াল তুলে এগিয়ে আসছে চিরায়ত শাশ্বত আলোর দিকে---
একটা জীবন
একটা জীবন ভয় পেয়ে, আমতা আমতা করে হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে কেটে গেলো
স্বজন, তুমি মানুষ হও আর না হও - সরকারে থেকো জাতি চাক বা না চাক তুমি সিনা টান করে ইবলিশের ছোটো ভাইটি হয়ে সর্বত্র থেকো
আমি দুর্বল চিত্তের ছা পোষা মানুষ আমাকে ফুলের রঙের গাঢ়তা, ঘ্রাণের তীব্রতা- ভীতু করে দেয় জোনাকির আলো জ্বালাবার সামান্য সক্ষমতাও আমাকে শরমেন্দা করে দেয়
একটা জীবন মাথা তুলবার - এবং খাড়া হবার চেষ্টা করতে করতে মুঠো পাকাতে পাকাতে কেটে গেলো---
চা স্টল
চা স্টলে বসা কোনও মানুষই অসুখী নয়
এখন চা স্টল থেকে ওঠে যাচ্ছে ছেঁড়া ছেঁড়া ঘরোয়া মানুষ; রাত বারোটার গ্রামে ডুবো জাহাজের পেট ভর্তি - গোলা বারুদের মতোন বদহজম প্রত্যেকের
টিপটিপ বৃষ্টি একটা লাল ইজিবাইক হঠাৎ লাস্যময় ত্যাজষ্ক্রিয় এক অনন্তের গান এখন ঘরে এসেও বহন করছি উষ্ণ শিহরণ
চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি, তন্দ্রাও ফেরেনি বসন্তের অপরাহ্ন উড়ে যাচ্ছে পারফিউমের গন্ধে, একটা মৃদু উসকানির দিকে কলেজ মোড় থেকে দীর্ঘতর প্রপঞ্চের দিকে
বর্ণিল পুচ্ছের তেষ্টাময় স্বপ্ন - ক্রমে বিজ্ঞাপিত প্রাত্যহিকতায় একটা কঞ্চির উপর বসা মাছরাঙা একটা লাল ইজিবাইক,ফুসমন্তর ভালোবাসা
তোমার জানালা
তোমার জানালা থেকে বেরোনো আলোয় আমি পুড়বো পুড়বো পুড়বো জোছনা ও কামিনীর ধারণা সমন্বিত পাঠ্যক্রমে আমি উড়বো উড়বো উড়বো
যদি বৃষ্টি আসে, যদি বিদ্যুৎ আষাঢ়ে চলে যায় তোমারে জড়াবো অন্ধকার,কদমের পরিকল্পনায় তোমার জানালা প্রফুল্ল সময়ে ধরেছে যে দৃশ্য আমি রামধনু, দাঁড়াবো নীরবে ভালোবাসা বিশ্ব
তোমার বাড়ি দক্ষিণ থেকে ক্রমশ দক্ষিণে চলে যায় আরো দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর লিখে রাখি খাতার পাতায়
হাস্নাহেনার গন্ধ মৃদুমন্দ বাতাসে তোমার জানালা ও রুমে ঘুরবো অচেনা অজানা আগুনে আমরা পোড়াবো ও পুড়বো