‘বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা কৌশল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
‘বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা কৌশল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে অনেক সমৃদ্ধ। সচেতনতা, ব্যবস্থাপনা কৌশল ও অবহেলাসহ বিভিন্ন কারণে কমে আসছে বন ও বন্যপ্রাণী। ‘বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা কৌশল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথাগুলোই তুলে ধরেন বক্তারা। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ ও ড. মনিরুল এইচ খান, সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী, সাবেক বন সংরক্ষক অসিত রঞ্জন পাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. নুর জাহান সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ড. গুলশান আরা লতিফা এবং বইটির লেখক ড. তপন কুমার দে সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞজনেরা।

অনুষ্ঠানে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা কৌশল’ গ্রন্থটি ১১৪৮ পৃষ্ঠার একটি চমৎকার প্রকাশনা। কঠিন এ কাজের জন্য নেচার করজারভেশন সোসাইটি ও প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনকে আমি ধন্যবাদ জানাই। মন্ত্রী আরো বলেন, বন ও বন্যপ্রাণী নিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গবেষণা করতে চায় তাহলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী নিয়ে লেখা বইগুলোর মধ্যে ড. তপন কুমার দে’র ‘বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা কৌশল’ একটি উল্লেখযোগ্য বই। বইটির প্রকাশনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। বন্যপ্রাণীর প্রতি মানুষের সচেতনতা সৃষ্টিতে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বইটির লেখক ড. তপন কুমার দে বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চল ও রক্ষিত এলাকার বর্ণনা, জীববৈচিত্র্য, ইকোট্যুরিজমের সুযোগ-সুবিধাদি; বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার আধুনিক কৌশল ও আবাসস্থল উন্নয়ন; বন্যপ্রাণীর খাদ্য, চিকিৎসা সেবা, লালন-পালন ও পরিবহন সম্পর্কে বইটিতে বিস্তারিত বর্ণনা প্রদানের চেষ্টা করেছি। তিনি আরো বলেন, প্রাণিপ্রজাতির বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার পূর্বশর্ত হলো মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষিত জনবল। কিন্তু বর্তমানে বন বিভাগে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার ওপর মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব রয়েছে। বন্যপ্রাণীর পরিচয় না জানলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বা ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব না।

গ্রন্থটিতে সহজ সাবলীল বাংলা ভাষায় রঙিন ছবিসহ বাংলাদেশের অধিকাংশ স্তন্যপায়ী, পাখি, সাপ, গিরগিটি, অঞ্জন, কচ্ছপ-কাছিম ও ব্যাঙের প্রজাতিভিত্তিক বর্ণনা, জীবনদশা, সামগ্রিক জীবন প্রণালির ও ব্যবস্থাপনা কৌশলের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সহস্রাধিক প্রাণীর রঙিন ছবি, আবাসস্থল বিস্তৃতি, শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য, বংশবিস্তার, খাদ্য, স্বভাবসহ অন্যান্য তথ্যাদিও রয়েছে। গ্রন্থটি পড়ে বন্যপ্রাণিবিদ, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, গবেষক, বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
গ্রন্থটির প্রকাশনা ও প্রচারে রয়েছে নেচার করজারভেশন সোসাইটি এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান