মানিক বৈরাগী - অনুভূতির বালুকণা
পপি ফুলের মধু পান করা দেহে
তোমাদের ক্ষমতার দাম্ভিকতা
আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে।
বুলবুলির গানেরও মাধুর্য আছে
লৌকিক পারলৌকিক আদর্শের বুলি
কাকীয় সঙ্গীতের থেকেও কর্কশ লাগে।
এ-ই অর্ধেক জীবনে কতো কী দেখলাম জনতা একবার যারে ছুঁড়ে ফেলে দেয়
তার গায়ে মশা-মাছিও বসে না আর।
আমার আমাদের কৈশোর-তারুণ্যে
তোমাদের বক্তব্যকে স্বর্গীয় সুধা ভেবে
গোগ্রাসে গিলেছি মগজে মননে
৭৫ থেকে ৯৬ কতো কতো তাজা প্রাণ
গিয়েছে অস্তাচলে।
এসব কোনো নাম তোমাদের হিসেবের খাতায় নেই
আছে শুধু কাড়ি কাড়ি ব্যাংক একাউন্ট গাড়ি -বাড়ি
অজানা মধুমক্ষিকা সাথে মৌচাক
এসবের দীর্ঘশ্বাস যেন তাঁর আঁচলে না বিঁধে
তাইহোক আমার আমাদের মরণের পণ।
#
হৈমন্তী ক'দিন রুদ্রস্নানে ভাসিয়ে
হটাৎ বজ্রনিনাদে এসে জড়িয়েছ বৃষ্টি।
আচমকা বৃষ্টিবিলাশ আশরীর ভিজেছি
হৈমন্তী খামখেয়ালি ভালোবাসায়
তপ্তজ্বরে কাঁপছি, অথচ তুমি নেই পাশে
দেহের হাড়গোড় মাংসপেশি ব্যথায় কড়কড়ে
এমনই ভরা পূর্ণিমা তিথিতে আমাকে শান্ত করো
হৈমন্তী সুস্থতা স্থিরতা দাও।
#
পরম প্রিয় শ্রদ্ধেয় চরম আকাঙ্ক্ষার যমদূত
তুমি এসো, অপেক্ষায় রেখো না আল্লাহর দূত
কতোবার তাড়িয়ে দিয়েছি কলবের হুংকারে
দেহের প্রতিটি ধমনী প্রতিটি শিরা-উপশিরায়
আজ কায়মনোবাক্যে ডাকছি— প্রাণ হরণকরো এবার।
#
আকিয়াব পাহাড়ের ভাজে-ভাজে লুকিয়ে আছে
হাজার বছরের জারণ - বিজারণের জারক রসের সঞ্চিত ধন।
পাহাড়ের পাদদেশে সমতলে ফলে জীবনের ফসল
মাটি খুঁড়লেই মিলে জৈবভস্মের জ্বালানী
বিশাল চারণভূমিতে চড়ে বেড়ায় গবাদিপ্রাণী
অফুরান ভূসম্পদ মিলেমিশে ভোগ করতো রোহিঙ্গা - রাখাইন
শ্যামের ধান্যবতীর দেশে
কয়েকশত বছর বৃটিশ বর্গী
তারপর আত্মকলহ ভাতৃঘাতী যুদ্ধ
দল-উপদলে চলছে রক্তের হোলিখেলা নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে দখলবাজ শক্তি।
#
লোভের লেলিহান আগুন, কামড়াকামড়ির ফাঁকতালে
খুব সন্তর্পণে বেণিয়ারাজ বিক্রি করে দিলো সমুদ্র নদী বন্দর
জ্বলে গেলো আকাশ বন্দর, বিমান বিধ্বস্ত হলো স্কুলের ছাদে।
অথচ
তোমরা পরস্পর রাজপথে দখল বেদখল আগুন সন্ত্রাসে মত্ত রইলে তারও আগে
আমাদের সুরক্ষিত সীমান্ত অরক্ষিত করেছে ফাকিং করিডোরে।
