মালেকা ফেরদৌস || দুটি কবিতা
							
							
								 
							 
							
							
							
								
							
							
								
						
					 
							কে এলো ঐ!
শুক্লা- দ্বাদশীর চাঁদ আকাশে আবির ছড়িয়ে অস্তের পথে
সুবহে সাদিক,এখনও ঘোর কাটেনি আঁধার রাতের
অন্ধকার, বেদনা যেন রুদ্ধবাক দাঁড়িয়ে,- পূণ্যবতী নারী মা
আমেনা অবাক বিস্ময়ে চোখ খুললেন- 
তাঁর ছোট্ট কুটির বর্ণিল আলোয় ঝলমলে, 
বেহেশতের সুরভিতে ভরে গেছে উষার শরীর
কোল জুড়ে মা’র পূর্ণ শশী মুহম্মদ, 
পাখির কলরব আর ফুলের সৌরভের‘ক্ষেপনাস্ত্রে ভরে ওঠে পবিত্র বারুদ’ লতা পাতা, তৃণ,ফুল ফল,পূণ্যাত্মা ফেরেস্তারা সমস্বরের গেয়ে ওঠে- সাল্লালাহু আলায়ে ওয়া সাল্লাম! 
সিজদায় নত হয় সব- কেঁপে ওঠে বিশ্বের ভোর।
ভয়ে কাঁপে লাত,মানতের পুজারীর দল,
খসরুর রাজ প্রাসাদের স্বর্ণচুড়া ভেঙ্গে চুর, 
কাবার মুর্তিগুলো খান খান, মরুর বুকে 
নহরের কল্লোল ওঠে সিরিয়ায়।
মক্কার আকাশ ভরে যায় আল্লাহর দূত আবাবিলে 
ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় আবরাহার বিশাল হস্তীবহর।
‘কুল মাকলুকাতে ধ্বণি ওঠে কে এলো ঐ,…… 
দর্পিত বাতাসের সাথে
ক্লান্ত চোখের পাতায় যখন ঘুম নেমে আসে
ঝটতি উড়ার শব্দে সচকিত করে এক ঝাঁক পাখি। 
রংগের তরঙ্গে মুদ্রিত বৃক্ষের পল্লবেরাও উড়তে থাকে
দর্পিত বাতাসের সাথে, ঢেউয়ের মত ছলছল 
কানে বাজে কলরোল,কতদূর যাবে এরা?
স্নিগ্ধ শরতে আমিও উড্ডীন মেঘেদের সাথে
মিশে যাই বৃক্ষের অবাধ্য হলুদে, এখন আমার 
স্পর্ধা এতোটাই-
পা তুলে দেই সটান চাঁদের উপর। 
