মোখলেসুর রহমান | কয়েকটি কবিতা
মোখলেসুর রহমান | কয়েকটি কবিতা
অনুবাদ করে কতো মিশ্রণে
মানুষ মুখ আড়াল করে অনুবাদ করে কতো মিশ্রণে
অনুবাদ করে জীবনকে কতোভাবে নিরপেক্ষহীন।
অনুভবে পক্ষপাত আর সুবিধাবাদী বিলাসে
অনুবাদ করে তোমাকে ও আমাকে।
তার মতো তার স্বার্থে অনুবাদ করে তুলে দেয়
পাবলিকের ব্যবহারিক মুখে।
এক মুখ থেকে আরেক মুখে গীবতের ভাষায়
ছলাৎ ছলাৎ কুমন্ত্রের খেলা। দাবার চালে উড়ে চলে
কুমন্ত্রকের হাওয়ার চাল।
চির সুন্দর আদর্শের পথে আদর্শের মতে
আমি থাকি আমি আছি- আমিতো আমার মতোই।
কাহারো ভুল ও মতের অনুবাদে আমার কি আসে যায়
আমিই আমার মতো। বড় ভালো লাগে আমি একাই।
সাজাই আমি আমাকে। সাজাই আমার একার পথচলা।
কেউ না শুনলে একলা চলরে
বরকতময় জ্বলজ্বল করা আদর্শের আলোয়।
পুড়তে পুড়তে দেখো নির্জনে পুনরুজ্জীবিত জীবন।

তপস্যায় বসে যাও

বুকে পরিখা খনন করে তপস্যায় বসে যাও।
মনের বাগানে আলোর ধ্বনি লিখে লিখে
সুরের বন্যায় ডুবে দেখো তোমার সীমান্তরেখা।
মনের বনে সঁপে দাও পৃথিবীর দীর্ঘ কষ্টের মৌনতা
আর কালের আগুন। দেখে দেখে চিনে নাও
জনপদে কালোরাত , কালোমন।বিস্ময়ে দেখো আলোমন।
আহবানে ডাকো মানবতার স্রোতজে সময়ের সমীপে বিমুগ্ধ
ভালোবাসা। জপো জপো সোহাগী শিশিরে শুদ্ধতার নাম।

জীবনের গোপন সংকেত

শব্দের বাহনে জীবনের সবুজ ভ্রুন গোপন সংকেত
আলোকিত বাণীর ধ্বনিতে গতিশীল দৃশ্যমান।
দৃশ্যের গুপ্ত ধারণে বুকের গহীন প্রবাহে
ধুক ধুক আলোময় পারদীয় জিকিরে দমের ওঠানামা।
তনময়তায় সম্মোহিত সমর্পণে সময়ের বীজ জ্বলে মনে
খেয়ালে ধ্যান ভাসে কলবের পর্দ্দায় চার সুরতে নমুনা।
সুন্দরের পেখমে স্বতন্ত্র মিথে মুখ তোলে সবুজ আলো।
মাটি ও জলের বন্ধনে আলোর মতো ফুটে সবুজের বীজমন্ত্র।
তেমনি মন ও শব্দের বাহন আরাধ্য সাধনে হয় আলোর বপন।
বপনের আলো হাসি কুঁড়াতে কুঁড়াতে দেখে জীবন।
জীবন পথের আলো বপনের গন্ধে জুড়ে দেয় খন্ড খন্ড অক্ষর
জীবনের মিথে আলোর অক্ষর শান দেয় সংসার তুমিতে।
মহামহিম আলোর নাম সকল যে মন জপে জিকিরে
আলোর বায়োগ্রাফি লিখতে পারে জীবনের খতিয়ানে।

আলোর মানুষ বড় একা

আকাশের নীলিমায় তাকাই
মন পড়ে পড়ে মাটির ধূলোয় তাকাই
পাখ-পাখালির গান শুনে শুনে লতা-পাতা
আর গাছের সবুজে তাকাই
আদবি -বেয়াদবী মানুষে ও পশুদের কর্মযজ্ঞে তাকাই।
জীবনের ফেরিওয়াল সময়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে
মনে পড়ে গতকাল কি ভেবেছি আর এখন কি ভাবছি
কি পেয়েছি এবং এখন কি পেলাম।
বুকের ভেতর তোলপাড় ভরা দীর্ঘঝড়
মনের পাঠশালায় আলোর পাঠশালা খোঁজে ফিরি।
পৃথিবীর সকল নাটকের পাঠশালায়
প্রকৃতপক্ষে আলোর মানুষ বড় একা
শেষমেশ আলোর মানুষ একাই চলে যায়
খোঁজে একাই আলোর ভূবন।
আলোর স্মরণ খেলে যায় গোলাকার কপাটে
চোখের তারায় দেখে নেয় অভিন্ন রঙ আদিগন্ত তল্লাটে
দেখো আলোর দূরবীনে উর্ধাকাশে জীবনের আলো।

স্পর্শহীন

স্পর্শহীন আলোহীন
জীবন ফিকে হয়ে যায়
অচল ইন্দ্রিয় চেতন ম্রিয়মাণ
স্মরণে চেতন মেওয়া চাই।
চেতনে জীবন সমান্তরাল
দায়ভার ভুলত্রুটি গুনে
কপট কর্কশ অদৃশ্যতা পায়।
স্পর্শের উষ্ণতা শিখে নাও
চেতনের চেতনা শরীরে রাখো ও মাখো
চেতন কর্মের থিওরিতে মানুষ হয়ে উঠো।

সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান