মারুফ কবির-র কবিতা
মারুফ কবির-র কবিতা
কুঁকড়ে দেয় আমাকে

 

 

মুনাফা লোভী মন মোনাফেকি করে ওঠে বারবার ফাঁকি দিয়ে বাস্তবের পৃথিবী;

ফুরসত করে পূর্ণিমার আলো গোগ্রাসে গিলে খাই যতটুকু পারি আমি।

 

সমুদ্রের মতো বিস্তৃত হতে চাওয়া মন সঙ্কীর্ণতার কলসে ঠিকঠাক এঁটে পড়ে,

কিসের মোহ পুরো জীবন পুড়িয়ে ফেলে, নিজ ভূমে পরবাসী করে দেয়।  

তোমার আমার ভালবাসার মতন সঙ্কীর্ণ হয়ে আসা সময়ে- 

হাতের মুঠোয় নিয়ে চোখের মনি দুটো দিয়ে ছুঁয়ে দেখি চাঁদের আলো, 

ভালবাসার অতীত হতে, স্বাধীনতার সম্ভবনা হাতে

প্রেমে কিংবা অপ্রেমে স্বাধীনতা হারায়! চন্দ্রালোকে ভিজে যায় যোনি।  

স্বপ্নের সীমারেখা টেনে দেই সবলে ভেবে মধ্যবিত্ত সম্পর্কের পরিণতি,

লোভের কাব্যে চিড় ধরায় স্বপ্নের ডালপালা, সম্পর্ক টেনে নেবার পালা থমকে দাঁড়ায়; 

আমার মগজের ভেতর একটা যোনি আছে, ধর্ষণের ভয়ে প্রায়শ কুঁকড়ে দেয় যে আমাকে।

 

 

আমার খুব শখ ছিলো

 

 

আমি একটা নদী পুষতে চেয়েছিলাম;

আমার দু'হাতের আঙুলের ফাঁকে এক বিন্দু পানি আটকে থাকে না,

পোষা নদীও থাকলো না আটকে, বেড়িয়ে গেল সমুদ্রের রাস্তায়।

আমার খুব শখ ছিলো জোৎস্নার আলো পুষতে;

খেলতে দেব তাকে জোনাক পোকার সাথে,

ঘন মেঘ এসে ঢেকে দিল চাঁদকে, আমার আর জোৎস্না পাওয়া হলো না।

ভেবেছিলাম খুব আদর করে বৃষ্টি পুষবো;

যখন তখন ভিজবো মনের মতন।

 

আমার পোষা নদী এখন প্রায় পুরোটাই বেদখল হয়ে আছে,

সমুদ্র পর্যন্ত নদীর আর যাওয়া হয়নি।

 

চাঁদের অমাবশ্যায় কাটে বছরের তিনশ পয়ষট্টি দিনই।

আর বৃষ্টির বদলে খুব আদর করে চোখের পানি ভেজায় আমায় যখন তখন এখন!

সবাই পরামর্শ দিলো কবুতর পুষতে আমাকে;

আমি ভাবি শান্তি পুষতে যাওয়া পুরোটাই বোকামি!


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান