০১.
দীর্ঘ বিস্তারি ক্লান্ত এক পথের নাম ফিলিস্তিন!
বাতাসে বারুদ,আগুন আর ইন্তিফাদার নাম
ফিলিস্তিন,
বেদনা,প্রতিবাদ ,গুলি আর রক্তের ভেতর
জাতি হত্যার দুঃখ বিধুর পান্ডুলিপির নাম ফিলিস্তিন,
স্বাধীনতা লড়াইয়ের জীর্ণ ইতিহাসের নাম ফিলিস্তিন,
জাহেলিয়ার গহ্বর থেকে মুক্ত আকাশ দেখতে
চাওয়ার নাম ফিলিস্তিন,
নীল মসজিদে সিজদার লড়াইয়ের নাম ফিলিস্তিন!
আমি স্বপ্নের সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে যখন আকাশের কোন নক্ষত্র ছুঁতে যাই
তখন মেঘের ভেতর থেকে আপনি সুরেলা কন্ঠে পদ্মার তরঙ্গের মতই
কি গভীর করে আমার নাম ধরে ডাকেন,আমি আকাশের গভীরতা মাপতে মাপতে একখন্ড জলজ নরম মেঘের ভেতর
শুভ্র-শশ্রুমন্ডিত পৌরাণিক পোশাকে ঠিক আপনাকেই দেখতে পাই!
উদয়কালের আলোর মতই আপনার বিচ্ছুরিত উষ্ণ হাসির ছোঁয়ায়
আমি সাহস করে বলেই ফেলি- যৌবনময়ী বাংলা ভাষা এখন
বহতা নদীর মতই দিকপ্লাবি-স্ফুরিত, সমৃদ্ধ-দীপ্র তার গদ্য-পদ্য,
সমুজ্জ্বল কাব্যের সমুদ্র কিভাবে তরঙ্গের ধ্বনি তুলছে,
অবারিত শ্যামল প্রান্তরে- সোনালী শব্দেরা উড়ছে
আলোর পাখির মতই,দেখুন কবি কিভাবে উড়ছে!
‘তারপরও মাঝে মাঝে কিছু পশু বিশেষের ডাকে মেঘলোকে কেঁপে উঠি আমি,
গাধা আর ছাগলের কণ্ঠ তান্ডবে নিজেই ভুলে যাই নিজের পয়ার।
জানো তো, তোমাদের কিছু নগর বিদূষক বন্ধ করে দিতে চায়
কাব্যের ক্ষীপ্র নদীটিকে।'- গমগমে কবির গভীর কণ্ঠের ধ্বনি
বাতাসে তরঙ্গ তুলে হারিয়ে যায় বহুদূরে।
বিনয়ে বলি-
ক্ষমা করবেন কবি, যদিও সংখ্যায় নগন্য তারা।
তারপরও এশিয়ায় জেগে ওঠা- বাংলা ভাষা আজ
স্পর্ধিত শিরে উঠে গেছে মেঘের মিনারে।
বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়েছি তাকে, নক্ষত্রালোকেও পৌঁছে দিয়েছি
আমরা বাংলা ভাষাকে,তবুও আর একবার আপনারই
কোমল স্পর্শ চায় বাংলা ভাষা, আপনি ছাড়া এ ভাষায়
কোমলতার সঞ্চার করবে কে বলুন কবি ?
বেদনার মত মেঘগুলো ভেঙ্গে যায়
যখন বৃষ্টি নামে অন্য কোন অদৃশ্য
বৃষ্টিজল আমি ছুঁয়ে দেখি কতবার
তোমার অমন সুন্দর মুখটাই
ভেসে ওঠে জলের ভেতর তখন।
আমার খুব কষ্ট হলে আজও-
অন্ধকারে আকাশ দেখি আগের মত,
একটা নদী বইতে থাকে নিজের ভেতর
জলের স্বভাব আমার,- তুমি বলতে
আমার জন্মটাই ছিল তুমুল বৃষ্টির ভেতর।
গোলাপের মত তোমার হাসির সুবাস
এখনও পাই,যেন বলছো-
কষ্টের নিস্তব্ধতার ভেতর তরঙ্গিত হও মেয়ে,
আকাশ দেখ। একটা অলৌকিক
উষ্ণ হাত আমায় ছুঁয়ে যায় আর
আমি খুঁজি সুরভি তোমার।
তোমাকে দেখার জন্য
আমার তৃষ্ণা বেড়ে যায় প্রতিদিন,
জন্মান্তর থাকলে আমি বৃক্ষ হতাম
আলতা
রাঙা ভোর অতল সন্ধ্যায়
অপেক্ষার মোম হয়ে মিশে যেতাম
প্রকৃতি মৃত্তিকায়।
কেবল তোমার জন্য এই শব্দের কলরোল,
কখনও ছবি কখনও কুয়াশা
সাগর, নিলয়,- উদ্যানের সুগন্ধ কখনও বকুল।
তোমাকে দেখার জন্য আমার কবিতারা
দিকভ্রান্ত পাখি আকাশে আকাশে,
চাঁদের জ্যোৎস্না নামে ফুলের বাগানে
চারদিকে ফিসফাস - কি কথা কাহার সনে?
তোমাকে দেখার জন্য স্রোতবেগহীন
নদীরা জেগেছে স্বচ্ছতোয়া।
প্রাচীন ভারতবর্ষ থেকে মেঘেরা এসেছে,
তোমার জন্য, বৃষ্টি নেমেছে
বহুদিন পর,বিস্তৃত মাঠ ভরে গেছে
তৃণ-গুল্মে, সতেজ ঝোঁপ-ঝাড়
হারিয়ে যাওয়া পাখিরা ফিরেছে নীড়ে
বহুকাল পর, তোমার জন্য
চোখের একবিন্দু জল আলোর বৃত্তের মত
জ্বলে উঠল আজ….
ক্ষমা চাই তোর কাছে
(পৃথিবীর আলো না দেখতেই যে কন্যা শিশুটি গুলিবিদ্ধ হয়েছিল তাকে নিয়ে লেখা এ কবিতাটি। আজ আবার পোষ্ট দিলাম।)
তোর বিলাপ শোনে সর্বলোকে--
ছোট্ট হৃদয়ের হাহাকার- শব্দহীন
এসে লাগে বুকের বাম পাশে--
মায়ের সৌরভ নিয়ে ছিলি নিশ্চিত,
নিমজ্জিত স্বপ্নের কাজলে আঁকা
কালো দুটো চোখ তোর--আহা!
দানবের রোমশ থাবায় অন্ধকার
নিমেষেই,হৃদয় পোড়ে- কেন
এতো কষ্ট তোকে পোহাতেই হবে?
বুলেটে বিদীর্ণ অতটুকু শরীর তোর
পড়ে আছে-- নিঃস্পন্দ ঘায়েল
প্রতিবাদহীন এক বিষন্ন বাংলাদেশ!
বুকের ভেতর নিঃসরণ- গূঢ় বেদনারা
ঝরে অনুতাপে, সজ্ঞানে ক্ষমা চাই তোর কাছে।
১
শিউলি ফুল
জোৎস্না মাখা রাত
মিষ্টি বাতাস।
শ্রমের শিশিরে মে
হলুদ মাঠ।
৩
নীল ডায়েরি
চোখের জলে লেখা
প্রেমের গল্প।
৪
ক্রিসেন্ট চাঁদ
সন্ধ্যা গৌধুলীর রং
শস্যের ঘ্রাণ।
৫
আমের মাস
লোভী মুখে জল
হলুদ পাখি।
রঙিন মাঠ
হলুদ সূর্যমুখি
গগের ছবি